ইউটিউব হলো ভিডিও দেখার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা সারা বিশ্বের দর্শকদের মনমুগ্ধ করে রাখে। ইউটিউব চালু হয়ে ২০০৫। সালে চালু হওেয়ার পর থেকে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা কেবল বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। যদিও ভিমেও, ভিডেমি এবং ডেইলিমোশনের মতো আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম চেষ্টা করেছে জনপ্রিয়তা পাওয়ার কিন্তু ইউটিউব আজও তার শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। যা আর কেউ পারেনি। সময়ের সাথে সাথে ইউটিউব বিশ্বজুড়ে বিপণনকারীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রিয় পাঠক,আজকের এই লেখায় ছোট্ট কয়েকটা তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো আর তাতেই আপনি জানতে পারবেন ইউটিউবে আপনার আগ্রহী হওয়া উচিৎ কেন? কেন আপনি একজন ইউটিউবার হবেন?
১) বর্তমানে ইউটিউব আছে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন ব্যবহারকারী । এই মাসিক সক্রিয় ইউটিউব ব্যবহারকারীরা হ’ল এমন লোকেরা যারা মাসে অন্তত একবার এই সাইটে লগ ইন করেন। এছাড়া লগইন না করেও প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন।
২) ইউটিউব হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের পরেই এর অবস্থান।
৩) ৮/১০ % বিপণনকারীরা ইউটিউবকে তাদের পণ্য বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য সেরা প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করে।
৪) ইউটিউব ব্যবহারকারীরা মোট ৮০ টি ভিন্ন ভাষায় ইউটিউব ব্রাউজ করতে পারেন ।
৫) বিশ্বব্যাপী দর্শকরা দিনে ১ বিলিয়ন ঘন্টা ইউটিউব দেখে।
৬) ৬২% ব্যবসায় কনটেন্ট পোস্ট করার জন্য ইউটিউব ব্যবহার করে। এটি কেবল তাদের পণ্য, টিউটোরিয়াল, ইভেন্টের ঘোষণা এবং আরও অনেক কিছু রিলেটেড ভিডিও হতে পারে। ইউটিউব ব্যবসায়ের জন্য ভিডিও কন্টেন্ট শেয়ার করে নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম চ্যানেল, এটি কেবল ফেসবুকের পরে দ্বিতীয়।
৭) ইউটিউবে ৭০% এরও বেশি ভিউ আসে মোবাইল ডিভাইস থেকে । এর অর্থ হ’ল আপনি যখন ইউটিউবের জন্য কোনও বিজ্ঞাপন তৈরি করেন কিংবা ভিডিও বানাবেন তখন আপনি মোবাইল ব্যবহারকারীদের কথাও মনে রাখবেন
৮) ইউটিউবে বিশ্বব্যাপী প্রতি মিনিটে ৪০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড করা হয়।
আশা করি এখন বুঝতে পারছেন কেন আপনি একজন ইউটিউবার হবেন। ইউটিউবার হবেন কারণ আপনি খ্যাতির পাশাপাশি এখান থেকে মাস শেষে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে ইউটিউবের পলিসিসমূহ মেনে চলতে হবে। এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে।