ইউটিউবে কেন আসবেন? কেন একটা ইউটিউব চ্যানেল খোলা উচিৎ? কিভাবে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন? কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করবেন? ইউটিউব টিক্স এন্ড ট্রিক্সসহ বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের এই লেখায়।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন ইউটিউব ব্যবহারকারী আছে। এটি একটি অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ইতোমধ্যে সবার মাঝে জায়গা করে নিয়েছে।
আপনার যদি কোনও ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার ইচ্ছা থাকে তবে এখনই শুরু করার সেটা উপযুক্ত সময়!
আপনি যদি একটি সফল ইউটিউব চ্যানেল তৈরির জন্য টিপস এবং কৌশলগুলো সম্পর্কে জানতে চান তবে এই ব্লগটি আপনার জন্য…
আমরা অনেকেই লেখালেখি করি। কনটেন্ট বানাই শখের বশে। আবার অনেকেই ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি শুরু করার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে। তবে কিছু শুরু করার সঠিক কোন সময় নেই। আপনি যদি মনে করেন যে আপনি প্রস্তুত এবং যে কোন সময় আপনি ভিডিও তৈরি করতে চান তবে আমি আপনাকে এখনই শুরু করার জন্য বলছি।
যাই হোক, সময় কিন্তু থেমে নেই। দিন এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। আপনার তৈরিকৃত কন্টেন্টের মাধ্যমে যদি কয়েক মিলিয়ন লোককে আপনার প্রভাবিত করার ইচ্ছা থাকে তবে মনে রাখবেন, এটি করার জন্য ইউটিউব হলো সফল একটি প্ল্যাটফর্ম।
কিভাবে একটা ইউটিউব চ্যানেল শুরু করবেন?
আপনি যদি এখনটি একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা শুরু করেন তবে আপনাকে অভিনন্দন! এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ একটা সময়। ইউটিউবার যা ভালোবাসে তা হ’ল সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বেশি নিজেকে যুক্ত করা, প্রচার করা। এটি আমাদের বিকাশ এবং বিকাশের এক অনন্য সুযোগও সরবরাহ করে।
ফলস্বরূপ, আমরা আমাদের দর্শকদের আরও বেশি ভ্যালু যোগ করতে পারি। আপনি শুরু করার আগে, এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা একটি যাত্রা মাত্র। শুরুতে, হয়তো হতাশাবোধ অনুভব করতে পারেন। আপনার চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওগুলো থেকে আপনি কোনও মতামত নাও পেতে পারেন না। মনে রাখবেন, ইউটিউব হলো একটা গেম। গতির খেলা। আপনি যদি আপনার ভিডিওগুলোয় সামঞ্জস্য বজায় রাখেন তবে সময়ের সাথে সাথে আপনার চ্যানেল আরও বেশি সাবক্রাইবার এবং ভিউ লাভ করবে এবং আপনি আপনার দর্শকদের সাথে সম্পর্ক বিকাশ করবেন। লোকেরা কী চায় এবং তারা কী প্রতিক্রিয়া জানায় তা সেদিকে গুরুত্বদিন। এরফলে আপনার চ্যানেলের গ্রো হবে খুবই দ্রুত।
কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু আপনি নিজেই নির্ধারণ করবেন, আপনার নিশে কি এবং আপনি মানুষকে কি দিতে যাচ্ছেন তা নির্ধারণ করুন। আপনার ভিডিওগুলো সংক্ষিপ্ত রাখুন। মনে রাখবেন আপনার চ্যানেল তৈরির প্রথম পর্যায়ে, দর্শক কিন্তু আপনাকে এখনও যথেষ্ট পরিমাণে চেনে না। সুতরাং, তারা আপনার জন্য কিন্তু তাদের ১০ মিনিটের সময়ও ব্যয় চায় না। আপনার ভিডিওগুলোর শিরোনাম যাই হোক না কেন তা শেয়ার করতেই থাকুন। আপনি যখন সঠিক জায়গায় পৌঁছবেন লোকজন ঠিকই আপনার প্রশংসা করবে
ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার আগে আপনার নিশের অনুরূপ অন্যান্য ইউটিউবারের ইউটিউব চ্যানেলগুলো ঘুরে আসুন। এরফলে আপনার যা উপকার হবে তা হলো, আপনার ভিডিও’র বিষয়গুলো যা ভাল পারফরম্যান্স করছে তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে। মনে রাখবেন, এর মানে কিন্তু এই নয় যে, অন্য ব্যক্তির ভিডিওগুলোর কপি করবেন।
আশা করবো, আপনি কিছু ধারণা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন। প্রতিটি সফল ইউটিউব ভিডিও অন্যদের আগ্রহী করে তোলার একটা দুর্দান্ত বিষয় দিয়েই শুরু হয়। মাত্র একবার আপনি আপনার শ্রোতা তৈরি করতে পারলে আপনি আরও অনেক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
ইউটিউব টিপস এবং ট্রিকস্
প্রথম এবং সর্বাগ্রে, আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও তৈরি করতে হবে। একবার আপনি একটি ভিডিও রেকর্ড করে থেমে গেলে চলবে না। আপনাকে আরও বেশি করে ভিডিও তৈরি কতে হবে। আপনাকে অনেকটা বাচাল প্রকৃতির ও স্পষ্টবাদী এবং বক্তৃতায় পটু হতে হবে।
এবার আসি থাম্বনেইলের বিষয়ে, আপনি হয়তো ইউটিউবের জন্য সেরা ভিডিও তৈরি করে তা আপনার চ্যানেলে আপলোড করেছেন। লোকেরা যদি আপনার সেই ভিডিওতে ক্লিক করতে আগ্রহী না হয় তবে কেউই সেটা দেখতে পাবে না। একটি দুর্দান্ত থাম্বনেইল লোককে মোহিত করে। শুধুমাত্র থাম্বনেইল দেখেই অনেকে সেই ভিডিও’তে ক্লিক করে থাকে। তাই থাম্বনেইল বানানোর সময় খুবই সর্তক হওয়া উচিৎ। এমন থাম্বনেইল বানানো উচিৎ যা মানুষকে আকৃষ্ট করে।
আপনি প্রতিটি ভিডিওর জন্য দুটি থাম্বনেইল তৈরি করুন তারপর থাম্বনেইল দুটি পাশাপাশি রেখে দেখুন কোনটা সবচেয়ে ভালো দেখায়। অতঃপর যে থাম্বনেইলটি আপনার কাছে সুন্দর মনে হয় সেটি ভিডিওর জন্য সিলেক্ট করুন। আপনি যদি সময় বাঁচাতে চান, তুলনামূলক সস্তায় আপনার জন্য থাম্বনেইলগুলো ডিজাইনের জন্য ফাইভারের মাধ্যমে একজন ডিজাইনার হায়ার করতে পারেন।
ইউটিউব এর ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে আলোর গুরুত্ব অনেক। ভিডিও চিত্রগ্রহণ এবং থাম্বনেইল এর ছবি তোলার জন্য প্রাকৃতিক আলো সর্বোত্তম। আপনি যদি বাইরে ভিডিও ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেন তবে মনে রাখবেন বাইরের শব্দগুলো আপনার ভিডিওর মানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ইউটিউব ভিডিওর জন্য ভালো মানের অডিও অধিক গুরুত্বপূর্ণ
মনে রাখতে হবে, ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার সময় অডিও’র দিকে নজর দিতে হবে। এমন মাইক্রোফোন ইউজ করতে হবে যাতে করে কণ্ঠ শ্রুতি মধুর হয়। বাইরের নয়েজকে কম ক্যাপচার করে। কারণ ইউটিউবে মানুষ শুধু ভিডিও দেখে না, শোনেও।
অবশেষে, একটি শক্তিশালী টুলস্ ব্যবহার করতে আপনাকে পরামর্শ দিবো যা ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার সময় ব্যবহার করবেন, তা হ’ল tubebuddy.
সফল হোক আপনার ইউটিউবে যাত্রা
ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেও অনেক ইউটিউবারগণ আর এগিয়ে যেতে পারেন না। আর এই না পারার পিছনে যে বিষয়টা কাজ করে তা হলো, ভয়। নিখুঁত হওয়ার বিষয়ে চিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন আপনি সবে শুরু করেছেন। পদক্ষেপ নিন, consistent থাকুন এবং আপনার প্রকাশিত প্রতিটি ভিডিওর অগ্রগতি দিকে মনোনিবেশ করুন। একটা ইউটিউব চ্যানেল শুরু করে সবাই উপকৃত হতে পারে। আপনার নিজের ব্যবসা তৈরির কথা, বলার দক্ষতা বাড়ানো, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, বা সমমনা লোকের সাথে community তৈরি করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সকলেই উপকৃত হতে পারে।
বর্তমানে ইউটিউব কোন শখের জায়গা নয়। নয় শুধু ভিডিও দেখার প্লাটফর্ম। ইউটিউব বর্তমানে টাকা কামানোর মেশিন। শুধু সময়ের অপেক্ষা এবং ভালো কনটেন্ট এবং ভালো মানের ভিডিও।