আমরা সকলেই জানি যে প্রত্যেকের জীবনে কিছু লক্ষ থাকে। যাদের জীবেন কোন লক্ষ্য নেই তারা অনেকটা মাঝিহীন নৌকার মতো। প্রত্যেকের জীবনে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমাদের মধ্যে খুব কম জনেই আছেন যারা এটি সঠিক উপায়ে করেন। আর তাই অনেকেই তাদের সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে পারে না। এর কারণগুলো স্পষ্ট, কেননা আমরা আমাদের লক্ষ্যগুলোকে অনেক সময় অযথাই অতিরিক্ত জটিল করে তুলি। অবাস্তব, বিভ্রান্তিকর কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করে আমরা আমাদের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করছি।
আমরা নিজেরাও এসব জানি. শুরুতেই হয়তো বা আমাদের ভুল ছিল। আমরা যারা উদ্যোক্তা আছি কিংবা যাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার তারা তাদের লক্ষ্যগুলোকে দুটি অংশে ভাগ করে নিতে পারেন। কোয়ার্টার এবং বার্ষিক। আপনি প্রতি ত্রৈমাসিকের শুরুতে কোয়ার্টার এবং বছরের শুরুতে বার্ষিক গোলগুলো সেট করে নিন। আপনি এই প্রান্তিকে কী করতে চান এবং বছরের শেষের দিকে আপনি কী হতে চান? পিরিয়ডের শেষে, আপনার প্রাপ্তিগুলো যোগ করে নিন এবং পরীক্ষা করে দেখুন এবং পরবর্তী সময়কালের জন্য যেগুলো পূরণ করা হয়নি তাদের একটি নতুন তালিকায় স্থানান্তরিত করতে পারেন।
আপনি আপনার লক্ষ্যগুলো ক্যালেন্ডারের পাতায় টীক দিয়ে রাখতে পারেন কিংবা ইচ্ছে করলে আপনি গুগল ক্যালেন্ডার বা আউটলুক ব্যবহার করতে পারেন। গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য একটি গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (সিআরএম) ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
মনে রাখবেন আপনার লক্ষ্যগুলো মূলত এক একটি প্রতিযোগিতা, একটি খেলা বা কোনও ধরণের কৃতিত্ব নয়। এগুলো কেবলমাত্র Material বা পণ্য যা কিনা আপনার নির্দিষ্ট সময়কালে সম্পন্ন হয়েছে। তাই নিজেকে যাচাই করে নেওয়ার জন্য একটা সঠিক সময়সূচী ঠিক করে নিন এবং নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনি এখনও ট্র্যাকেই আছেন এবং কোনও কিছুই ভুলে যাচ্ছেন না।
অনেক আলোচনাই তো হলো, এখন আপনি কোন ধরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন? সাধারণত যে লক্ষগুলো আপনার কাছে যুক্তিসঙ্গত এবং পরিমাণমতো অর্জন করা যেতে পারে তাই নির্ধারণ করুন। শুধু ব্যবসায়িক না, ইচ্ছে করলে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলোও অন্তর্ভুক্ত করতে পাারেন কারণ একটি ছোট ব্যবসায়িক মালিকের জন্য, লক্ষ্য নির্ধারণ ব্যবসার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
লক্ষ্যগুলো খুব জটিল হওয়ার দরকার নেই। লক্ষ্যগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনার পণ্যসমূহের একটি তালিকা তৈরি করে নিন। যদি আপনার লক্ষ্যগুলো ঠিক সময়ে অর্জন করতে না পারেন তখন বুঝতে হবে যে, আপনি হয়তো বা আপনার লক্ষ্য নির্ধারণকে অতিরিক্ত জটিল করে তুলেছেন। আপনি হয়তো অবাস্তব, অগ্রহণযোগ্য এবং প্রায়শই অদম্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন।
লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে আপনার করণীয়ঃ
আপনার পণ্যের ব্র্যান্ডিং উন্নত করুন।
কাস্টমার সার্ভিস আরও ভালো করুন।
গ্রাহকের অভিযোগ শুনুন এবং সেগুলো সমাধাণের ব্যবস্থা নিন।
ই-মেইল মার্কেটিং করুন।
সফল ইকমার্স ব্যবসা চালানোর ৪টি গোপন বিষয়
তাহলে আপনার লক্ষ্যগুলো-সেট করার প্রক্রিয়াটি কি? কিভাবে, প্রস্তুত হবেন? আপনার লক্ষ্যগুলোকে কেবল কাজ হিসাবে বিবেচনা করুন। এগুলোকে পরিমাণ এবং যুক্তিসঙ্গত করুন। মনে রাখবেন লক্ষ্য বাস্তবায়নে অতিরিক্ত কাজ করবেন না, এটি কেবলমাত্র একটি করণীয় তালিকা। আপনি কী করবেন, কেন আপনি করণীয় তালিকায় সমস্ত কিছু করছেন না? সেই বিষয়সমূহ নিয়ে ভাবুন। আপনি এইসব সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করুন। এভাবেই আপনি এগিয়ে যান। আর এভাবেই আপনি একদিন নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন।