বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং একটা জনপ্রিয় আয়ের অন্যতম মাধ্যম। শুরুটা কোন বিষয়েও ওপর করবেন সেটা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিস্তৃতি এতটা যে, সহজেই কেউ বিশেষ করে নতুনরা বুঝে উঠতেই পারেন কোনটা আগে করবেন।
ছাত্র, গৃহিনী থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং যে কেউ করতে পারে। শুধু দরকার সংশ্লিষ্ট কাজের ওপর দক্ষতা। আপনি ইউটিউবের সহায়তা নিয়ে কিংবা প্রশিক্ষণ নিয়েও দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
আজ আলোচনা করবো সবচেয়ে জনপ্রিয় ৭টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিয়ে।
আমি কিছু বিষয়ে আপনাকে সাজেস্ট করবো যে বিষয়গুলোতে বর্তমানে প্রচুর চাহিদা আছে।
১। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বর্তমান খুবই জনপ্রিয় একটা অনলাইন জব। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নানা রকম কাজে নিয়োগদাতাকে সাহায্য করতে হয়। গ্রাহকসেবা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল অফিসে বাস্তব অফিসের সহকারীর মতো কাজ করতে হয়। এখানে আপনি ঘন্টা ভিত্তিক আয় করতে পারেন।
২। ডাটাএন্ট্রিঃ ঘরে বসে ডাটাএন্ট্রির কাজ করেও আপনি আয় করতে পারেন। আপওয়ার্ক, ফিল্যান্সার,ইল্যান্স, ফাইভার প্রভৃতি সাইটে বিড এর মাধ্যমে কাজগুলো পেতে পারেন।
৩। ট্রান্সক্রিপশনঃ বিভিন্ন ভাষার ওপর যাদের দক্ষতা আছে তাঁদের জন্য এই ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আরবি, রুশ, মান্দারিন, ফ্রেঞ্চসহ যত বেশি ভাষা জানবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।
৪। ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান যুগটাই অনলাইনের যুগ। বিশ্বের ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত ও সামাজিক নানাক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেকের ওয়েবসাইট আছে। বা অনেকেই ওয়েবসাইট করার চিন্তায় আছে। কিন্তু দক্ষ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর বড় অভাব আমাদের দেশে। প্রতিদিনই শত শত ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এসব ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যেমন দরকার তেমনি দরকার ওয়েব ডেভেলপমেন্টেরও। নতুন ওয়েবসাইট তৈরি বা পুরাতন ওয়েবটি নতুন করে ডিজাইন ও ডেভেলপ করার জন্য প্রয়োজন ওয়েব ডেভেলপার।
আপওয়ার্ক, ফিল্যান্সার,ইল্যান্সসহ বড় বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো বর্তমানে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কাজ হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
৫। কনটেন্ট রাইটিংঃ আপনি যদি লেখালেখিতে দক্ষ হয়ে থাকেন বিশেষ করে ইংরেজিতে তবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারেন। অনলাইনে লেখালেখি যেটিকে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট বলে থাকি। বর্তমানে অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হলো এই কনটেন্ট রাইটিং। আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট থাকে তবে আপনার লেখাগুলো সেখানে পাবলিশড করে গুগল এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য রিসোর্স বই, ব্রশিউর, লিফলেট বা অন্যান্য প্রচারণার কাজে কনটেন্ট লিখেও আপনি আয় করতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটিংয়ের ক্ষেত্রগুলো হলো- ব্লগ লেখা, ওয়েব কনটেন্ট, কপিরাইটিং, প্রেস রিলিজ রাইটিং, রিজিউম রাইটিং, ট্রান্সলেশন, ট্রান্সক্রিপশন, সামারাইজেশন, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি।
৬। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ বর্তমান যুগটাই যেনো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া কেউই নিজেকে কল্পনাই করতে পারেন না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেও আপনি আয় করতে পারেন। যেমন প্রচারণা, এসইও, বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজগুলোর মাধ্যমে অয় করতে পারেন।
৭। টি-শার্ট ও লোগো ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ লোগো ডিজাইন ও টি-শার্ট ডিজাইন করেও আপনি আয় করতে পারেন। আপনার ডিজাইনকৃত টি-শার্ট বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে সাবমিট করে আয় করতে পারেন।
বিভিন্ন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের লোগো, ইউটিউব চ্যানেল, ফেজবুক পেজ, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য লোগোর প্রয়োজন হয়। এইসব প্রতিষ্ঠানের জন্য লোগো ডিজাইন করেও আয় করতে পারেন।