গ্রাম থেকে ব্যবসা করার উপায় নিয়ে মূলত আজকের এই লিখা। গ্রামে থেকে ব্যবসা করার একটি বড় সুবিধা হল কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায়। যে ব্যবসাগুলি কম পুঁজিতে গ্রামে থেকে করা যায়

) কিটনাশকের ও সারঃ খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসাটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের জন্য বিভিন্ন কিটনাশক ও সার যেমন ইউরিয়া, জিপসাম, পটাশ ইত্যাদি ব্যবসায় অনেক লাভ সিজন অনুযায়ী ৩/৪ মাসের মধ্যেই অনেক টাকা আয় করা যায়।

২। শস্য বীজ বাজারজাতকরণঃ এই ব্যবসাটিও অল্প পরিমাণ পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায়। এ ব্যবসার জন্য প্রথমে বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে ভালো জাতের বিভিন্ন বীজ যেমন পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, পাট, ধান, ভুট্টা ইত্যাদি প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে। তারপর এগুলো ভালো করে বাছাই করে রোদে শুকাতে হবে। পরবর্তীতে বীজগুলো প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করতে হবে। ইচ্ছে করলে আপনি রেডিম্যাড বীজের প্যাকেট পাইকারি কিনেও ব্যবসা করতে পারেন।

৩। মৎস চাষঃ কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছের চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই। বর্তমানে মৎস চাষ একটি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। যে কোন ধরনের মাছ আপনি চাষ করতে পারেন। নিজের পুকুর না থাকলেও লিজ নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে।

৪। পশু-পাখির খামার: পশু-পাখি তথা গরু বা ছাগল, কবুতর, হাঁস, মুরগী, কয়েল পাখির খামার খুব লাভজনক একটা ব্যবসা। যদি গ্রামে আপনার নিজস্ব কিছু জায়গা থাকে তবে কিছু পশু বা পাখি কিনে খামার শুরু করতে পারেন। এসব লালন-পালন বিষয়ে যদি সামান্য জ্ঞান থাকে তাহলেও এ ব্যবসায় ভালো একটা নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারবেন। আর জ্ঞান না থাকলেও সমস্যা নেই। উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা বা ইউটিউবের সহায়তায় আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতেপারেন।

৫। শাক-সবজির বিক্রিঃ শাক-সবজির ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা। পুঁজিও কম লাগে। যদি কাছাকাছি কোন শহরে এনে বিক্রি করতে পারেন তবে লাভের পরিমাণও বেশি হবে।

৬।  কসমেটিক্স এর দোকানঃ   অল্প পুজিতে একটা কসমেটিক্স এর  দোকান করতে পারেন। কসমেটিক্স এর দোকান থেকে অনেক লাভ করা যায়। গ্রামে এর যথেষ্ট চাহিদাও আছে।

৭। ওষুধের দোকানঃ ওষুধের দোকান দিতে পারেন। ওষুধের দোকানে ভালই মুনাফা আছে। আর সবাই জানে যে, একমাত্র ওষুধের দোকানেই কোন দরদাম চলে না। ফলে এটাতে প্রচুর লাভ হয়। গ্রামের বাজারে বা মোড়ে একটা ওষুধের দোকান দিয়ে দেখতে পারেন।

৮। মুদি দোকানঃ অল্প পুঁজি দিয়েই এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। গ্রামে দোকান  ভাড়া কম বিধায় খরচও কম হবে। কি পরিমাণ মুদি পণ্য দোকানে উঠাবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার কেমন খরচ হবে। হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, চাল-চিনি-ডাল-তেল, বিস্কুট, চানাচুর থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই যদি আপনার দোকানে থাকে তাহলে লাভ হবে দ্রুতই।

৯। ফ্লেক্সি লোড/মোবাইল ব্যাংকিংঃ ফ্লেক্সি লোড/মোবাইল ব্যাংকিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটা ব্যবসা। শহরে কিংবা গ্রামে ফ্লেক্সি লোড বা মোবাইল ব্যাংকিং এর গ্রাহক সব সময় থাকে। খুব ছোট পরিসরে একটা দোকান নিয়ে কিংবা শুধুমাত্র টেবিল আর চেয়ার নিয়েও আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারেন। বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসগুলো দোকানে অবশ্যই রাখবেন।

By Moksedul Islam

I am Moksedul Islam. Writer, poet and storyteller. An entrepreneur. Love to write and read. Writing is my hobby.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *